Share
Table of Content:
Fatema Noor/ 26 August, 2025
গর্ভাবস্থা বা প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে একজন মেয়ের নিয়মিত সার্কেলের মাসিক বন্ধ হওয়া। সময় পার হওয়ার পরও যদি মাসিক শুরু না হয় তখন Pregnancy Test এর মাধ্যমে গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়াও, আরো কিছু শারীরিক লক্ষণ সন্তানের আগমনবার্তাটির জানান দেয়।সচারচর দেখা যায় এমন লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলো হলো-
বিভিন্ন হরমোননের পরিবর্তনের কারণে সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে গর্ভকালীন এ সকল সমস্যায় মায়েরা বেশী ভোগেন।
একজন মা সর্বপ্রথম একজন ভালো গাইনোকলোজিস্ট এবং একটি ভালো হাসপাতাল খুজে বের করবেন। শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধির ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান লাভ করার জন্য বই এবং ইন্টারনেটের সাহায্য নিবেন। প্রতিটি পদক্ষেপ সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভরশীলতা তার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
শারীরিক ও মানসিক অসুবিধা হলে অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক্তারকে অবগত করতে হবে। মা’কে যতোটা সম্ভব হাসিখুশি ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাককে হবে। পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে ভালো সময় কাটানোর মাধ্যমে নিজেকে উৎফুল্ল থাকতে হবে।
যেকোন মায়ের ই উচিৎ পরিবারের সাথে আলোচনা করে ডাক্তার নির্বাচন করা। স্বামী এবং পরিবারের সাহায্য নিয়ে নিয়মিত চেকাপ এর ভেতর থাকা।
ভারী কোনো ব্যায়াম না করা। কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ খাবার একেবারেই না খাওয়া। পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন এ খাওয়া।
চা, কফি পরিমিত পান করতে হবে। এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। নোংরা, অপরিষ্কার পানি, ভাজাপোড়া খাওয়া পরিহার করতে হবে। সাদা ভাত, আটার পরিবর্তে লাল চাল, লাল আটা, বাদামি চিনি খেতে হবে।
অতিরিক্ত রক্তপাত ও পেট ব্যাথা বা মাথা ব্যাথা, রঙিন গন্ধযুক্ত ডিসচার্জ, তিন দিনের বেশি জ্বর, অতিরিক্ত বমি হলে বা মাসিকের ব্যাথার মতো তীব্র ব্যাথায় অজ্ঞান হয়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
প্রেগনেন্সির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একজন মা কখনোই কোনো আনপ্রেস্ক্রাইব্ড ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। শারীরিক দুর্বলতা এ সময় খুব সাধারণ কিন্তু একজন মা কে সবসময় মানসিক ভাবে দৃঢ় থাকতে হবে তার ও অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য বিবেচনা করে।